আঁরা বাঁশখাইল্লা
 তপন দে
 °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
 সোন্দর গরি চলি আঁরা, নাই হনো হইজ্জা,
 পুক মিক্কা বড় পাআর; পশ্চিম মিক্কা দইজ্জা।
 চোখ দিলে ন সরে চোখ; যিক্কা চাই ইক্কা,
 মাছে ভরা পইর বিল- ফুলফল নানান ঢিক্কা।
 ঘরে ঘরে আঁরা বেয়াকে আঁস কুরা পালি,
 বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
‘কালীপুইজ্জা লেচু’ একবার যে খাইয়ে ভাই,
 এঁড়ে আইলে বারেবারে- আরো খাইতো চায়।
 গাছে ভরা সোন্দর ফল, মাইরত্ত চায় দে দলা,
 খাইবাল্লাই পঁল অই যাগই; আম,কাট্টল, হলা!
 এ্যান হা হায়দে বেয়াকগ্গুনে- পেট ন রাখে হালি,
 বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
খানখানাবাদ সী-বীচর হতা কী হইয়ুম আঁই,
 এত সুন্দর জাগা আঁরার, আর হনোমিক্কা নাই!
 খালবিল হতো সোন্দর হতো ডইল্লা পাখি,
 বেয়াইন্নে সরেত্তুন ওড়ি তারা, গরে ডাকাডাকি।
 মনে লাগে’দে উপরওয়ালা রং দিয়েদে ঢালি,
 বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।
রাতিয়া যাই দি শান্তির ঘুম, নাক ডাকি ডাকি,
 আকাশর তারা শতশত, গনিলে থাইব বাকি?
 ব্যাঙের হইজ্জা, ঝিঝি পোকর মধুর মধুর হতা,
 ভুলি যাগই মনর মধ্যি- জমক যতই বেথা।
 সন্ধ্যা অইলে জুণিপোকে – আলো দেয় দে জ্বালি,
 বিশ্বাস নইলে ঘুরি যাইয়ন, আঁরার বাঁশখালী।

