বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী হামেদিয়া রহিমা আলীয়া মাদরাসা দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৬ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদরাসাটি শিক্ষকদের পরিশ্রম, প্রচেষ্টায় উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাদরাসার আসন অলংকৃত করে বারবার।
রাস্তার পাশে হওয়ায় শিক্ষার্থীদেরও পছন্দের শীর্ষে বৈলছড়ী ইউনিয়নের চেচুরিয়ায় অবস্থিত এই মাদরাসা। সর্বত্র মাদরাসাটির সুনাম থাকলেও বেশ কয়েকটি কারণে সম্প্রতি দুর্নাম ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- পরিবেশ দূষণকারী মাদরাসার টয়লেট। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়- মাদরাসার ছাত্রীদের টয়লেট মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী হলেও মাদরাসার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত ছাত্রদের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী। টয়লেটে নেই কোন টেপ, বদনা, সাবান, টিস্যু! দরজাও ভাঙ্গা! তাছাড়াও টয়লেটের পাশের ময়লার রিজার্ভ ট্যাঙ্ক ময়লায় ভর্তি হয়ে যাওয়ায় টয়লেটের ময়লা কয়েক বছর ধরে ছড়িয়ে পড়ছে খোলা আকাশের নিচে। এতে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- মাদরাসার টয়লেটের ময়লা থেকে উৎপাদিত গ্যাস সংরক্ষণের জন্য বসানো হয়েছে বিশাল দুইটি ট্যাংক। সেই ট্যাংকে গ্যাস সংরক্ষণ করে তা দিয়ে রান্না করা হয় শিক্ষক ও মহিলা হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের খাবার। সেই গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে ছাত্রদের টয়লেটটি পরিণত হয়েছে বাজারের টয়লেটে। হাবিবের দোকানের চায়ের দোকানগুলোর কর্মচারীরা ছাড়াও যে কেউ ব্যবহার করতে পারে মাদরাসার এই টয়লেট। তাতে কোন বাঁধা আসেনা মাদরাসার পক্ষ থেকে। যার ফলে টয়লেটগুলো সব সময় অপরিষ্কার থাকে। এতে মাদরাসার নামে থাকলেও টয়লেটগুলো ছাত্রদের কাজে আসেনা।
গত চৌদ্দ তারিখ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী চ্যানেল আইয়ের একটি প্রোগ্রামে বাঁশখালী এলে এক শিক্ষার্থী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এতে তিনি বলেন- সু-শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুস্থ থাকার পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগি। যা এই আধুনিক যুগের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমি (জেলা প্রশাসক) আজ বাঁশখালীর কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাব। তোমরা বিভিন্ন জায়গায় সে কথা জানিয়ে দাও।
সেদিন জেলা প্রশাসকের পরিদর্শনের খবরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেটে পরিবর্তন আসলেও এই মাদরাসায় হয়নি কোন পরিবর্তন। এ ব্যাপারে গত একুশ তারিখ মাদরাসার অধ্যক্ষ জমির উদ্দীন নেছারীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- “মিস্ত্রি বলা হয়েছে। কাজ শুরু হবে।” কিন্তু পাঁচদিন পার হলেও এখনো শুরু হয়নি টয়লেট সংস্কারের কাজ।