মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ছানুবীঃ হায়রে নিয়তি! একি ছিল বিধাতার লেখা? সকাল ১০ টায় কাঙ্খিত পরীক্ষা শুরুর মাত্র একঘন্টা আগেই সকাল ৯ টায় মৃত্যুপথের যাত্রী হলেন এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল খালেক। বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল সে। পরীক্ষার সকল প্রস্তুতিও ছিল সম্পন্ন। অবশেষে তাকে আর পরীক্ষা দিতে হলো না, ওপারের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
শীলকূপ ইউপি’র শাহ আলমের পুত্র আবদুল খালেক (১৮) দীর্ঘ তিন বছর ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ক্যান্সার যুদ্ধে পরাজয় হয়ে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো। মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ওই আবদুল খালেকের আশা ছিল অন্য পরীক্ষার্থীদের মতো সেও এসএসসি পরীক্ষা দেবে, পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট নিয়ে মা,বাবা, শিক্ষক ও পাড়া-পড়শির মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু নিয়তির একি খেলা! ঘাতক ক্যান্সার তার সেই আশা পুরণ করতে দেয়নি, পরীক্ষা শুরুর ঠিক একঘণ্টা আগেই না-ফেরার দেশে চলে যেতে হলো তাকে।
বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক ও নিহত ছাত্র আবদুল খালেকের বাবা শাহ আলম যেন শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন, তাঁরা কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদকের কাছে ব্যক্ত করেছেন তাদের নানান অনুভূতি। সহপাঠীর এই করুণ মৃত্যুশোক বুকে নিয়েই গতকাল চাম্বল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা দিয়েছেন সহপাঠী পরীক্ষার্থীরা।