মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ আদালতের আদেশ অমান্য করে চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মূল্য পরিশোধ না করে জায়গার উপর কাজ চালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মামলার প্রেক্ষিতে ওই জায়গার উপর কাজ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে জেলা দায়রা যুগ্ম জজ আদালত। তাছাড়া জায়গা বিরোধ নিরসনে বিজ্ঞ আদালত এডভোকেট কমিশন নিয়োগ করলেও বারবার টাইম পিটিশন দাখিল করার অভিযোগও পাওয়া গেছে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ভূমি মালিকদের অভিযোগ তাদের জায়গা গুলোতে প্রকল্প সমন্বয়কারী এডভোকেট হুমায়ুন কবির জোর পূর্বক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত করছে ভূমি মালিকদের। শনিবার (৭ এপ্রিল) বিকালে বিরোধপূর্ণ জায়গায় পরিমাপ করতে গেলেও প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এডভোকেট কমিশনের কমিশনার সিনিয়র আইনজীবী আবুল হোসাইন তা আমলে নিয়ে আগামী ১৮ এপ্রিল পুনরায় জায়গার পরিমাপের তারিখ ধার্য্য করবেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও মামলার বাদীকে।
 এ নিয়ে মকবুল আলী চৌধুরী ওয়াকফ ষ্টেটের পরিচালক আতিকুল রহমান চৌধুরী বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত বিরোধকৃত জায়গা পরিমাপ পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এডভোকেট কমিশন নিয়োগ করেন। এদিকে আদালতের নির্দেশে গত ২৭ মার্চ এডভোকেট কমিশন উক্ত বিরোধপূর্ণ জায়গা পরিমাপ করতে গেলেও পাওয়ার প্ল্যান্টের সমন্বয়কারী যথাযথ কাগজপত্র হাতে না থাকার অজুহাতে এডভোকেট কমিশনের নিকট সময় চেয়ে একটি টাইম পিটিশন দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে এডভোকেট কমিশন আবারো পরিমাপের তারিখ নির্ধারণ করেন ৭ এপ্রিল। এদিকে ধার্য্যকৃত তারিখে ৭ এপ্রিল শনিবার পাওয়ার প্ল্যান্ট এলাকায় বিরোধপূর্ণ জায়গা পুনঃরায় পরিমাপের জন্য আসেন এডভোকেট কমিশনের সিনিয়র আইনজীবী আবুল হোসাইন। কিন্তু এবার উপস্থিত ছিলেন না পাওয়ার প্ল্যান্টের সমন্বয়কারী এডভোকেট হুমায়ন কবির। এদিকে বার বার টাইম পিটিশন কিংবা অনুপস্থিত থেকে চরম ভাবে হয়রানির করছেন ভূমি মালিকগণ। মকবুল আলী চৌধুরী ওয়াকফ স্টেটের পরিচালক আতিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী হুমায়ন কবির আমাদেরকে অহেতুকভাবে হয়রানি করে আসছেন। আমাদের জায়গার মূল্য পরিশোধ না করে জায়গার উপর জোর পূর্বক কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিজ্ঞ আদালতে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হলেও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
 উল্লেখ্য বাঁশখালীর গন্ডামারায় ১৩২০ মেগাওয়াট সম্পন্ন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান এস. আলম গ্রুপ ও চীনের ২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে প্রকল্পের বেশ কিছু স্থাপনা ও মাটি ভরাট কাজ চলছে। স্থানীয় মকবুল আলী চৌধুরী ও পেঠান আলী চৌধুরী ওয়াকফ ষ্টেটের জায়গা অধিগ্রহণের মূল্য পরিশোধ না করে কাজ করায় বাঁশখালী যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন ওয়াকফ ষ্টেটের পরিচালকগণ। মকবুল ওয়াকফ ষ্টেটের ১০৪ কানি বা ৪১ একর জায়গার উপরে কোন ধরনের কাজ না করার নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত।

