গতকাল ১২ই নভেম্বর ছিল দেশের অন্যতম শিক্ষিত গ্রাম চুনতির স্বনামধন্য ডিপুটি বাড়ির সন্তান ইউনুস খান এর ৫০ তম মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯৬৭ সালের এই দিনে তিনি জান্নাতবাসী হন।
তিনি ১৯৫৫ সালে জেলা সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কুমিল্লা হতে অবসর নেন।
তিনি চুনতি হাকিমিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি এবং এলাকার চেয়ারম্যান ছিলেন।
ইউনুস খানের কাচারি ঘরে গোড়াপত্তন হয় ওই অঞ্চলের প্রথম ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুনতি হাই স্কুলের।
পরোপকারী ও শিক্ষানুরাগী ইউনুস খান এলাকার লোকজনের মধ্যে এতই প্রভাব বিস্তার করেছিল যে তৎকালীন সময়ে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন এবং সকলের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
এ উপলক্ষে তাঁর কবর জেয়ারত, কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় চুনতিতে এবং বাঁশখালী রহিমা এতিমখানায়।
খতমে কোরআন ও জেয়ারত শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন মুজাদ্দেদীয়া তরিকার পীর মাওলানা হাবিবুর রহমানের খলিফা ও ভাতিজা পীরে কামেল জনাব মাওলানা নাজিম উদ্দিন। মুনাজাতে মরহুম ইউনুস খানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রয়াতের সকল আত্মীয় স্বজনের জন্য দোয়া করা হয়।
প্রয়াতের বংশধরগন কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সমাজকর্মী সহ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট, গীতিকার, বিশ্বিদ্যালয় শিক্ষক, এডভোকেট, সরকারী বেসরকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছাড়াও দেশ বিদেশে ছড়িয়ে আছেন নিজ নিজ দক্ষতায়। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে প্রয়াতের মেয়ে জামাই আহমদুল ইসলাম চৌধুরী একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, লেখক, গবেষক ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব। সাহিত্যিক অধ্যাপক মুহিত উল আলম প্রয়াতের নাতীন জামাই। জনপ্ৰিয় বেন্ড দল সোলস এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নকিব খান প্রয়াতের নাতী। গীতিকার মাহমুদুন্নবীর মেয়ে সামিনা চৌধুরী প্রয়াতের নাতীন বউ। প্রয়াতের আরেক নাতীন জামাই সাম্প্রতিক সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র আয়নাবাজীর পরিচালক জিয়াউদ্দিন আদিল একজন দেশবরেণ্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও পাঁচ জন বিশ্বিদ্যালয় শিক্ষকও রয়েছেন এই পরিবারে।
প্রয়াতের নাতি ও সামাজিক সংগঠক জোবাইর চৌধুরী জানান, প্রয়াতের স্বজনরা সবাই সমাজে প্রতিষ্ঠিত। সবাই মিলে আগামী ২২ ডিসেম্বর তাঁর স্মরণে পারিবারিক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
ইউনূস খানের স্মরণে সমাজের উন্নয়নে আরো বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।