ইকোপার্কে অনিয়ম, ইজারাদারকে ইউএনও’র হুঁশিয়ারি

blank
blank

বাঁশখালী ইকোপার্কের গেট ইজারাদার দীর্ঘদিন ধরে প্রতিজন পর্যটকের কাছ থেকে ১০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা করে বাড়তি প্রবেশ ফি আদায় করছিল। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই বাড়তি প্রবেশ ফি ও পার্কিং ফি আদায় করলেও নিশ্চুপ ছিলো ইকোপার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বন বিভাগ। গতকাল সোমবার ইকোপার্কে গিয়ে বাড়তি টাকা আদায়ের হাতেনাতে প্রমাণ পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তাৎক্ষণিক গেটের প্রবেশ ফি’র পরিমাণ উল্লেখ করে সাইনবোর্ড দিতে বন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও। এরপরেই গতকাল বিকালে প্রবেশ ফি’র টাকা উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ব্যস্ততা থাকার পরেও দুপুরের দিকে ইকোপার্কে যাই। সেখানে গিয়ে কাউন্টারে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ভ্যাটসহ প্রবেশ ফি ১০ টাকা জানান। এসময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন পর্যটক জানান, তাদের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই আমি তাৎক্ষণিক বাড়তি টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়ে কাউন্টারে থাকা লোকজনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছি। ইজারাদারকে পাওয়া যায়নি। পরে ইকোপার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন বিভাগের কর্মকর্তাকে গেটে প্রবেশ ফি’র পরিমাণ উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশ দিয়েছি। বিকালেই সেই সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এখন থেকে ১০ টাকার বাইরে প্রবেশ ফি নিলেই ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র জানায়, ইকোপার্কের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণে তেমন কোন উদ্যোগ নেই। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আনিসুজ্জামান শেখ দায়িত্বে থাকলেও তিনি বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার বাড়তি প্রবেশ ফি আদায় করলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনরূপ আপত্তি জানানো হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতির পর ঘুম ভেঙেছে বন বিভাগের।
বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ পূর্বদেশকে বলেন, ‘ইকোপার্কের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স রুবেল এন্টারপ্রাইজ। তারা আমার সামনে পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিতে পারে নাই। আমি না থাকলে চুরি করে বাড়তি টাকা আদায় করতো। ইউএনও স্যারের নির্দেশে প্রবেশ ফি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। এখন থেকে বাড়তি টাকা আদায় করলেই ইজারা বাতিল করে দিব।’

সূত্র: পূর্বদেশ

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *