চাম্বল ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকা পুলিশ আরিফ বিল্লাহ (১৬) নামে এ কিশোরকে থেকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাকে বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া ক্রিকেটারের নাম আরিফ বিল্লাহ। দিনাজপুরের বিরল থানার পলাশবাড়ি গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে। আটককৃত দুজন হলেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকার মো. রফিক প্রকাশ রহিম (৫৫) ও সিলেটের কোতোয়ালি থানা এলাকার মো. জয়নাল (১৯)। তবে জয়নাল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তিনিও আরিফের মতো চাকরির লোভে রহিমের সঙ্গে বাঁশখালী এসেছেন।
আরিফ বিল্লাহ জানান, সে দিনাজপুর অনূর্ধ্ব-১৬ জেলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়। গত মঙ্গলবার বাবার সঙ্গে রাগ করে সে বাড়ি থেকে বের হয়। দিনাজপুর থেকে ট্রেনে ঢাকা আসে। সেখান থেকে আবার ট্রেনে করে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছায়। স্টেশনে ঘোরাঘুরির সময় রহিম তাকে মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাঁশখালীর উদ্দেশে রওনা দেয়। বাঁশখালীর বাংলাবাজারের জলকদর সেতুর ওপর কাউকে খুঁজতে থাকে অভিযুক্ত রহিম। তাঁদের উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরি দেখে সোহেল নামে স্থানীয় এক যুবক তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন আরিফ স্থানীয় লোকজনকে ঘটনা বললে সন্দেহবশত এলাকাবাসী তিনজনকে আটকে রাখে।
চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওই তিনজনকে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। রাত ১১টার দিকে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
এ বিষয়ে রফিক প্রকাশ রহিম জানান, চট্টগ্রাম রেলস্টেশন এলাকার সুলতান নামে এক ব্যক্তি আরিফকে বাঁশখালী নিয়ে আসতে বলে। সুলতান সহযোগী হিসেবে জয়নালকে দিয়েছিল। বাঁশখালীর নেজাম মাঝি নামে একজনের কাছে আরিফকে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। বিনিময়ে তাঁকে টাকা দেওয়া হবে বলেছিল।
আটক জয়নাল বলেন, তিনি চাকরির লোভে রহিমের সঙ্গে বাঁশখালী এসেছেন। তিনি কারও সহযোগী নন।
আরিফের মামা আবু বক্কর শুক্রবার দুপুরে জানান, আরিফের বাবা আজ আরিফকে বাড়ি নিয়ে গেছেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আরিফের এক মামা এসে আরিফকে থানা হেফাজত থেকে নিয়ে যান। রহিম ও জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা থানা-হাজতে আটক রয়েছে। বাঁশখালীর নেজাম মাঝির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটা পুরোপুরি দিলে ভালো হতো….এইরকম শুধু হেডলাইন!!!
আমাদের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য দুঃখিত। নিউজটি আপডেট করা হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি দ্রুত আমাদের নজরে আনার জন্য 🙂