পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় কলেজের সভাপতি হলেন ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী

blank

আবু ওবাইদা আরাফাত, বাঁশখালী টাইমস: পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও গবেষক বাঁশখালীর কৃতীসন্তান প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী। তিনি বর্তমানে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার পদে কর্মরত আছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক মনোনীত হিসেবে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিদর্শক মো. আবদুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীকে সভাপতি, মোহাম্মদ লোকমানকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অধ্যক্ষকে সদস্য সচিব করে এডহক কমিটি গঠন করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক একজন দক্ষ সংগঠক ও প্রশাসক।
বর্ণাঢ্য পেশাগত ক্যারিয়ারের অংশ হিসেবে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এসবের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল ও এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি, চবি ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য, বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) প্রতিষ্ঠাতা সিন্ডিকেট সদস্য, বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের উপদেষ্টা, পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরকজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বাঁশখালী ও বাঁশখালীবাসীর প্রতি তাঁর গভীর মমত্ববোধ ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঁশখালীর শিক্ষার্থীদের যেকোন সমস্যায় তিনি অভিভাবক হিসেবে পাশে থেকেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা চালিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাঁশখালীর অনেক শিক্ষার্থীকে তিনি আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করতেন। তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা এবং সুপারিশে বাঁশখালীর অনেক শিক্ষিত তরুণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি লাভ করেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে গুরু দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাঁশখালীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন ও বাঁশখালী উপকূলে গার্মেন্টস পল্লী গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাবি জানান।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *