মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০ বসতঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পার্শ্ববর্তী আরো ৩টি বসতঘর। শুক্রবার (৩ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে উপজেলার ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আজম পাড়ার বধু বলির বাড়ি প্রকাশ কবি ছাবের আহমদ এর বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নুরুল ইসলামের রান্নাঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারিত হয়ে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এতে ১০ বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ভস্মীভূত হয়েগেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, মৃত কবির আহমদের ছেলে নুরুল হক ও তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম। কবি মৃত ছাবের আহমদের ছেলে ডেন্টিস্ট আব্দুল মালেক ও তার ভাই আবু তাহের প্রকাশ শাহজাহান। মৃত মো. মিয়া এর ছেলে মো. লোকমান, মৃত আব্দুল হাকীমের ছেলে মো. কাইছার, মৃত হাবীবুর রহমানের ছেলে মো. ইউসুফ, মৃত ফরিদ আহমদের ছেলে শহিদুল আলম ও শাহ আলম। মৃত মুন্সি মিয়ার ছেলে মো. হাছানের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদের মাথাগুজাবার অবশিষ্ট আর রইলোনা। অপরদিকে মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে নুরুল আলম, মৃত নুর আহমদের ছেলে মো. সওকত, ফরিদ আহমদের ছেলে মো. আলমের বসতঘরও পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, তাদের ধারণা এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
ওই ইউনিয়নের সিপিপির ৭নং ইউনিটের সদস্য আবুল কালাম জানান, রাত ১২টার দিকে অাগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে এলাকার লোকজন তাৎক্ষণিক অাগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। তারা বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে চলে আসেন। লোকেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে তারা দ্রুত পৌছাতে পারেনি। পরবর্তী ফায়ার সার্ভিস রাত ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দিদারুল আলম জানান, ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে না আসলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরো দ্বিগুন ছাড়িয়ে যেত। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে স্থানীয়দের ৩ থেকে ৫ জন আহতের খবর পাওয়া যায়।