চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ব্র্যাকের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণের মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাই কোর্ট।
আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন) শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করে।
এই তিন আসামি হলেন- মো. শফি আলম, মো. কালু ও আবুল হোসেন। তাদের মধ্যে কালু পলাতক, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাদের ভুঁইয়া ও মমতাজ বেগম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশিরউল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিয়া মো. শামীম আহসান ও নির্মল কুমার দাস।
বশিরুল্লাহ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কী কারণে আদালত মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দিয়েছে সেটি পূর্ণাঙ্গ রায়ে জানা যাবে। প্রধান আসামি শফি আলম ১০ বছর ধরে কারাগারে আছেন। আর প্রধান আসামির দণ্ড কমানোর কারণেই অপর দুই আসামির দণ্ড কমানো হয়েছে।”
মামলার বিররণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১২ জুন বাঁশখালীর দক্ষিণ জলদি এলাকার ব্র্যাকের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসামিরা।
সে সময় ওই নারীর বয়স ছিল ৩০ বছর। ওই বছরের ১৪ জুন শফি আলম, কালু ও আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
পুলিশ ২০০৫ সালের ২১ অগাস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে ২০১৩ সালের ৫ জুন অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরু হয়।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ মামলার তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আসামিরা আপিল করেন। সেই আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে হাই কোর্ট মঙ্গলবার সাজা কমিয়ে রায় দিল।
সূত্র: বিডিনিউজ২৪