মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: বাঁশখালী উপজেলা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার (১ আগষ্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন। এ সময় বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই লিটন চাকমাসহ বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি সোর্স ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের পেশকার চিংলাউ মারমা সুমন উপস্থিত ছিলেন। অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা সদরের গিরি সম্রাট ও গ্রীণ চিলি হোটেলকে ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৮ ও ৪০ ধারায় ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপরদিকে পৃথক অভিযানে স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী আইনের ১৯৮২ ধারায় ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সর্বমোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান চলাকালে বাঁশখালীর রাস্তাঘাট ফাঁকা এবং মুহূর্তের মধ্যে নিত্য যানজটের বাঁশখালী পৌর শহর যানজট মুক্ত হয়ে যায়। ইউএনও’র অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অন্যান্য দোকান বন্ধ করে অনেক ব্যবসায়ী এবং ফার্মেসী মালিকরা পালিয়ে যায়।
এসময় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ভেজাল, মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং সরকারি ওষুধ সরিয়ে ফেলতেও দেখা যায়। দীর্ঘ দিন পর বাঁশখালীতে অভিযান পরিচালনা করায় স্থানীয় জনগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে তারা আগামীতে বাঁশখালীর অনুমোদনহীন ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধেও আরো কঠোর অভিযান পরিচালিত করতে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারন জনগণ।