ডাকসু নির্বাচনে বাঁশখালীর আরো এক বিজয়ী ফয়সাল মাহমুদ

বাঁশখালী টাইমস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে স্যার এ এফ রহমান হলে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সমর্থিত এবং সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ মনোনীত বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ। তারা পূর্ণ প্যানেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় পায়।

blank

তিনি চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।

একই প্যানেল থেকে মনোনীত হয়ে জগন্নাথ হলের পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে লড়েছেন উত্তর জলদীর কৃতি সন্তান, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী রিন্টু বড়ুয়া এবং সুফিয়া কামাল হলে বহিরাঙ্গণ ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়েছেন জলদির মেয়ে দর্শন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী রহিমা রাহী।

এদিকে শামসুন্নাহার হলে স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন কাথরিয়ার আফসানা ছপা। ডাকসু নির্বাচনে বাঁশখালীর মোট দুজন বিজয়ী হয়েছেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হলো। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে শেষবার ব্যালট হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় ২০১২ সালে ২৫ শিক্ষার্থীর করা রিটের উপর ভিত্তি করে। সে সময় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ থেকে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপরে আবার থমকে যায় ডাকসু নির্বাচনের আওয়াজ। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। নির্বাচন চেয়ে সমাজকল্যাণ বিভাগের ওয়ালীদ আশরাফ অনশন করেন।

২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালত ৬ মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল আদালত সেটি গ্রহণ না করলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা ২০১৯ মার্চের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল প্রকাশ করে।

১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সৃষ্টি হয়। মোট ৩৬ বার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডাকসুর প্রথম ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১৯৯০-৯১ সেশনের জন্য ভিপি ও জিএস পদে যথাক্রমে নির্বাচিত হন ছাত্রদলের আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকন। এরপর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *