ভারী বর্ষণে প্লাবিত বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকা

বাঁশখালী টাইমস: পরশু শুরু হওয়া ভারি বর্ষণ গতকাল পর্যন্ত বহমান ছিল। আজ সকাল থেকে সেটা কিছুটা কমেছে। নিম্নচাপ থেকে শুরু হওয়া এই বর্ষণে বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বহু এলাকা ও এলাকার লোকজন। নষ্ট হয়েছে ক্ষেত-খামার, ফসলি জমি। পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে গেছে বিভিন্ন রাস্তা, মানুষের ঘর-বাড়ি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। তার উপরে গত পরশু রোববার রাত থেকে বিদ্যুতহীন! লোকজন নাম দিয়েছে “বাঁশখালী এখন বিদ্যুতখালী!”

 

ছনুয়া থেকে শুরু করে পুকুরিয়া পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পুকুরিয়ায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে ক্ষেত-খামার, লোকজনের সচেতনতায় রক্ষা পেয়েছে পুকুর ও পুকুরের মৎসসম্পদ। সাধনপুরে সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। বাণীগ্রামে রাস্তার মাঝখানে গাছ পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। খানখানাবাদের বেড়িবাঁধের কিয়দংশ ভেঙ্গে গেছে। বাহারছড়ার অনেক এলাকা প্লাবিত, পানিবন্দী হাজারো মানুষসহ গবাদিপশু। কালীপুরে ঢল নেমেছে। গুনাগরীর রাস্তা ডুবে গেছে। আশ্রমগেটের দোকানগুলো পানি ঢুকে একাকার! তাদের ঈদের বেচাকেনাও বুঝি শেষ হয়ে গেল! বৈলছড়ির ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ও টেকপাড়ায় প্রবল ঢলে ভেঙ্গে গেছে রাস্তার অংশ। কাথারিয়ার বহু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি, বাতাসের তাণ্ডবে ভেঙ্গে গেছে গাছপালা, বাড়িঘর। জলদী, পাইরাং, সরলেও পানিতে একাকার বহু গ্রাম। শীলকূপেও নেমেছে পাহাড়ি ঢল। শেখেরখীর-গন্ডামারা-বরগুনা বরাবরের মতোই আক্রান্ত। তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বাঁশখালীর বিপদ বুঝি তাদের দিয়েই উদ্বোধন হয়! ছনুয়া-পুঁইছড়িতেও এই ভারি বর্ষণ ব্যাপক ক্ষতি করে গেছে। চারদিক যেন জলে থই থই করছে!

 

মানুষ খুব কষ্টে আছে। দুই সপ্তাহ আগের ‘মোরা’র আঘাত কাটিয়ে ওঠার আগে আবার নতুন আঘাত এই ভারি বর্ষণ। কী করবে লোকজন? বাঁশখালীকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা চায় দুর্গতরা।

You May Also Like

One thought on “ভারী বর্ষণে প্লাবিত বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *