এই তো সেই দিন-বাবার হাতটি ধরে এই স্কুলের আঙ্গিনায় পা রেখেছি-
 একি সারিতে ‘আমার সোনার বাংলা’- সুরে সবাই মিলেছি।
 ক্লাসের প্রথম দিনের অবাক দৃষ্টির অপরিচিত মুখগুলো-
 ভালবাসার বন্ধনে স্কুলের বিদায় বেলায় পরলো চোখের জ্বলগুলো।
 আজও একই আছে সেই স্কুল- একি আছে পথের ধুলো
 একই আছে সেই উচ্ছাস- শুধু বদলে গেছে প্রিয় মুখগুলো।
 কোন স্যারের কথা রেখে কোন স্যারের কথা বলি!
 শাসনে-আদরে যে মাখা সেই মধুময় দিনগুলি।
 আজিজ স্যারের পিতৃসুলভ স্নেহের কথা ভাবতেই লাগে ভালো-
 মতিন স্যারের ব্যক্তিত্ব ছড়াতো যেনো আলো।
 প্রিয় এমরান স্যারের হাস্যোজ্জল কথা-‘পড়া না পারলে সোজা গার্ল স্কুল’!!
 ঝিমিয়ে পড়ানো এক স্যারকে ‘রানিক্ষেত’ ডাকলেই হয়ে যেতো হুলস্থুল !!
 মোজাম্মেল স্যারের সুন্দর-সাবলীল ইংরেজী পড়ানোর কথা সবার আছে জানা-
 ভাষা জ্ঞানে দক্ষ চন্দন স্যারকে কেনো সবার ছিলো ভয়- তা আজও অজানা !
 তাহের স্যারের পদার্থ বিজ্ঞান বুঝানোর ক্ষমতা ছিলো অসাধারন-
 অমায়িক পরীক্ষিত স্যারের স্নেহের কথা কি আর করব বর্ণন!
 জুলফিকার স্যারের স্কাউটে শখা নৃত্য- বিজয় নৃত্যে ছড়াতো হাসির ফুলঝুড়ি-
 আকতার স্যার-হারুন স্যারের কথাও কি আর ভুলতে পারি !
 আর কারো পড়া না শিখলেও নুরুলহুদা হুজুরের পড়া শিখতাম!-
 পন্ডিত স্যারের মাইর কি ছিলো তা বন্ধুদের পিঠ দেখেই বুঝতাম !
 এই প্রিয় স্যারেরাই শাসন করেছেন ভালোর জন্য-
 ক্ষমা করেছেন ভুলের জন্য-গড়ে তুলেছেন আগামীর জন্য।
 এই যে সবাই ভালো আছি- কিংবা যদি বলি এই আমি- !!
 স্যারেরা ভীত মজবুত না করলে উজ্জল সূর্যও দিন দুপুরে হতো অস্তগামী।
লেখক:
আমজাদুল আলম
 কর্মকর্তা-(ডাটাবেজ এডমিনিস্ট্রেটর)- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড
 আইটি ডিভিশন-প্রধান কার্যালয়-ঢাকা
 ব্যাচ-২০০০

