তান্নি চৌধুরীর কবিতা || পালকের দীর্ঘশ্বাস

blank

পালকের দীর্ঘশ্বাস

তান্নি চৌধুরী

বর্ণমালার উঠোন পেরিয়ে প্রথম চিনেছিলাম কয়েকটা শব্দ।
এর মধ্যে আমার ভালো লেগেছিল বিষাদ।
মন খারাপের গুমোট আকাশ।
তারপর আমি চিনলাম ডাহুকের ডাক।
মুক্ত আকাশে ধবল বকের ঝাঁক উড়ে যাওয়া ভোর।
অস্তমিত সূর্যের শরীর হতে ছুটে আসা ঘ্রাণ আমার ভালো লাগেনি।
ভালো না লাগার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমি বিচ্ছেদ শব্দটা চিনলাম।
পরিচিত হলাম ঠকে যাওয়া এবং ঠেকে যাওয়ার সাথে।
আহত পাখির সান্নিধ্যে এসে আমি হাহাকার চিনলাম।
সংবেদী বুক ছুঁয়ে গেল পালকের দীর্ঘশ্বাস।
এভাবে পৌঁছে গেলাম গ্লানি ক্লান্তির সাম্রাজ্যে।
উৎসবের পালা শেষে বেজে ওঠা সুরে আমি প্রথম বিদায় চিনেছিলাম।
করুণ বেহাগ কিংবা ভারাক্রান্ত বুক কোনোটাই আমার ভালো লাগেনি।
এভাবেই আমি চিনে গেলাম কষ্ট নামের বিশাল আকাশ।
পাথুরে মেঘের অগ্নুৎপাত।
সমুদ্র চেনার আগেই আমি তার গোঙানি চিনেছিলাম।
জেনেছিলাম তীর ভাঙা ঢেউয়ের গভীরে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস।
সমুদ্রের তান্ডব ও নিষ্ঠুরতা আমার কখনোই ভালো লাগেনি।
তবু আমি সমুদ্রকেই পুরোপুরি চিনলাম।
বুকের মধ্যে সমুদ্র আঁকড়ে ধরেই বেড়ে উঠলাম।

 

You May Also Like

One thought on “তান্নি চৌধুরীর কবিতা || পালকের দীর্ঘশ্বাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *