বিদায় দুই হাজার সতেরো সাল

বিটি ডেস্ক: ৩১ ডিসেম্বর। আজকের দিনটি পার হলে গুরুত্ব হারিয়ে যাবে দেয়ালে গত একবছর ধরে টানানো ক্যালেন্ডারটির । সেখানে ঝুলবে আরেকটি নতুন ক্যালেন্ডার। সময় এক প্রবহমান মহাসমুদ্র। কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়া, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। যে প্রত্যাশার বিশালতা নিয়ে ২০১৭-এর প্রথম দিনটিকে বরণ করা হয়েছিল, সেই প্রত্যাশার সব কি পূরণ হয়েছে? এ হিসাব না হয় নাইবা করলাম। এ বছরটি নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে আমাদের জীবনে, এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।

৩১ ডিসেম্বর। বছরের শেষদিন । আগামীকাল পা রাখবো নতুন বছরে। বলবো- ‘যাক পুরাতন স্মৃতি/যাক ভুলে যাওয়া গীতি,/ অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।’

নতুন স্বপ্নকে ধারণ করেই প্রতিটি নতুন বছরকে মানুষ স্বাগত জানায়। বিদায়ী বছরের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির হিসেবভূমিতেই রচিত হয় নতুন স্বপ্ন-আশা । একেকটি বছর আসে নতুন উদ্দীপনা নিয়ে, নতুন প্রেরণা নিয়ে। সেই প্রেরণা নিয়েই শুরু হয়েছিল ২০১৭। প্রত্যাশার শতভাগ পূরণ হয়নি সত্য, তবুও নব-উদ্যমে প্রাণের উচ্ছ্বাসে বরণ করা হবে নতুন বছর।

‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’- দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা পেতে চাই। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে আমাদের প্রিয় স্বদেশ যেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভূতপূর্ব পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে চিরকালের জন্য আজ হারিয়ে যাচ্ছে ঘটনাবহুল ২০১৭ সাল। বাংলাদেশের অনেক ইতিহাস বদলে দিয়েছে বিদায়ী বছরটি।

প্রত্যাশার বিশালতা নিয়ে ২০১৭ সালের প্রথম দিনটি বরণ করা হয়েছিল। ছিল চক্রান্ত, ছিল ষড়যন্ত্র। সবকিছু ছাপিয়ে সৃষ্টির জাগরণে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের দেশের কালো তকমা মুছে ফেলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

প্রমত্তা পদ্মা সেতুর বুকচিরে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণযজ্ঞ চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে রাজধানীতে মেট্রোরেলের । জাতীয় প্রবৃদ্ধি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তাই বিদায়ী বছরে প্রাপ্তি ছিল অনেক। ২০১৮ সালের অনেক প্রত্যাশার বীজও বুনে গেছে বিদায়ী ২০১৭।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *