বাঁশখালী টাইমস ডেস্ক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে হাত-পা হারানো প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী ওয়াহেদা আক্তারের চিকিৎসা ও লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি। আজ শনিবার সকালে ওয়াহেদার পিতা মোজাহের আলীর হাতে কৃত্রিম হাত-পা প্রতিস্থাপনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি।
শিল্পপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি বলেন, ‘একজন শিশু অল্প বয়সে হাত-পা হারানোর পরও স্কুলে যাচ্ছে। জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই বিষয়টি ওয়াহেদার পরিবার বুঝতে পেরেছে। আমি তাঁদের দুর্দশা দেখেই সহায়তার হাত বাড়িয়েছি। মেয়েটিকে হাত ও পা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করেছি। মেয়েটি যাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য সকল ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আ. ম. কাজী মুহাম্মদ হারুন উর রশীদ, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুর জলিল চৌধুরী, সাংবাদিক রাহুল দাশ নয়ন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আ.ম. কাজী মুহাম্মদ হারুন উর রশীদ বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মেয়েটি আজ পঙ্গুত্ববরণ করেছে। এই অসহায় ও হতভাগ্য পঙ্গু মেয়েটির প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন মুজিবুর রহমান সিআইপি। মেয়েটি এখন কৃত্রিম পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে পারবে এবং স্বাভাবিক কাজ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মনগাজি বাড়ির সামনে পিকআপের চাপায় পা থেঁতলে যায় শিশু ওয়াহেদার। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানে অপারেশন করে ওয়াহেদার বাম পায়ের নিচের অংশ কেটে ফেলতে হয়। পরে বাম হাতে ভুল জায়গায় ইনজেকশন পুশ করায় ঔষুধ মাংসপেশীতে ছড়িয়ে পড়লে সংক্রমণ শুরু হয়ে হাতটি ফুলে যায়। যে কারণে হাতটির কব্জি পর্যন্ত কেটে ফেলে চিকিৎসকরা। দীর্ঘ তিনমাস হাসপাতাল বেডে চিকিৎসা নিয়ে হাত-পা হারিয়ে ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর বাড়ি ফিরেছিল মেয়েটি।
এখন সে বাবা-মার কোলে চড়ে নিয়মিত স্কুলে যায়।